কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ২০টি বাস।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে রোহিঙ্গাদের দশটি বাসে তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় আরও দশটি বাস রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে ছেড়ে যায়।রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সঠিক সংখ্যাও জানা যায়নি।চট্টগ্রাম থেকে শুক্রবার সকালে তাদের জাহাজে করে নৌপথে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে বুধবার রাতেই ওই রোহিঙ্গাদের আনা হয়। বাসগুলোও আনা হয় রাতেই।
এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে স্থানান্তরের যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে।বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ বলেছে, রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে নেওয়ার যে পরিকল্পনা সরকার করেছে, তার সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ হবে, শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যন্ত ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ করা। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম বন্দর নগরী থেকে ভাসানচর পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচর পাঠানোর প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করা, সেখানে স্থানান্তরিত শরণার্থীদের পুরোপুরি সম্মতি নেওয়া এবং জাতিসংঘের কারিগরি কমিটির মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।